চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবী ছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ‘মিজানুর রহমান কিছুদিন আগে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষকে নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা। তার মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বলেন, ‘মিজানুর রহমানের স্ত্রী থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন যে তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি তিনদিন ধরে নিখোঁজ।’
ঝিনাইদহের মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, ‘শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা জানতে আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফকে চিঠি দিয়েছি। বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারব।’