বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাইবার নিরাপত্তা আইনে কেবল খোলস পাল্টানো হয়েছে: টিআইবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:৩১

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনও নিবর্তনমূলক হবে বলে আমরা মনে করি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কপি পেস্ট। সংসদে আইন হিসেবে পাস হয়ে গেলে এটি হবে একটি কালো আইন।’

সাইবার নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কপি পেস্ট বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খসড়া আইনে কেবল খোলস পাল্টানো হয়েছে। সংসদে আইন হিসেবে পাস হয়ে গেলে এটি হবে একটি কালো আইন।

বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনও নিবর্তনমূলক হবে বলে আমরা মনে করি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কপি পেস্ট। এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘খসড়া আইনটি এখন যে অবস্থায় আছে সেটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এতে মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হবে বলে মনে করি। এখনও সময় আছে, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এটা সংশোধন করা যেতে পারে।’

ড. ইফতেখার বলেন, ‘খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনটি যদি কার্যকর হয় তাহলে এটাকে বিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের শাস্তি পরিবর্তনের নামে বা কিছুটা কমিয়ে এনে, কিছু ধারার পরিবর্তন করার নামে শুধু খোলস পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মূল বিষয়গুলো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেসব কারণে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ছিল আগের আইনে, নতুন খসড়াতেও সেসব বিষয় রয়ে গেছে। যার মধ্যে অন্যতম বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এই খসড়া আইনে রয়ে গেছে। যদিও শাস্তির পরিমাণ কমানো হয়েছে, এতে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু অন্যদিক থেকে এটা নিবর্তনমূলক আইন হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন যেটা কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি আইনের যে খসড়া এখন আছে সেটা যদি কার্যকর হয়, তাহলে এই আইনও কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত হবে। এখানেও বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হবে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিজের মত প্রকাশ করলে ঝুঁকির সম্মুখীন- সেই বিষয়টিই রিপিট হবে এখানে।’

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা প্রত্যাশা করবো- সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা আছেন, যারা বিশেষজ্ঞ, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সাইবার সিকিউরিটি আইনের যেমন চর্চা থাকে, যেমন উদ্দেশ্য থাকে সব বিষয় বিবেচনা করে এই আইনের খসড়াকে ঢেলে সাজানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাইবার সিস্টেমকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি এখানে সেভাবে না রেখে মানুষ যে তার মত প্রকাশ করবে, চিন্তা প্রকাশ করবে, মন্তব্য করবে সেই জায়গাটায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এই খসড়া আইনে। এটি যেহেতু এখনও খসড়া অবস্থায় আছে তাই আমরা মনে করি এটিকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর