বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজতে তদন্ত কমিশন করতে হবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ২০:০০

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে জিয়া বলেছিলেন- তাতে কী হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি আছেন। এসব ইঙ্গিত করে যে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে তিনি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতরাও পরবর্তীতে সাক্ষ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছেন।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি।

রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার এ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

কর্মসূচিতে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধা অসিত সরকার সজল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বিসিএসআরআই চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ, কবি আসলাম সানি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, সাবেক ছাত্রনেতা এবং পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল প্রমুখ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার যারা মাস্টারমাইন্ড তাদের মুখোশ এখনও উন্মোচন হয়নি। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী কারা ছিলেন সেটাও পুরোপুরি জানা যায়নি।

‘হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া ক্ষমতায় এসে খুনিদের চাকরি দেন, পুনর্বাসন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে জিয়া বলেছিলেন- তাতে কী হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি আছেন। এসব ইঙ্গিত করে যে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে তিনি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন তারা পরবর্তীতে সাক্ষ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছেন।’

বাহাদুর বেপারী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে। খুনি এবং তাদের দোসররা ক্ষমতায় এসে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নেয়ার চেষ্টা করেছিল। অনেক পরে হলেও ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। কিন্তু অনেক খুনির মুখোশ উন্মোচন হয়নি। তাই দ্রুত তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।’

অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচন সময়ের দাবি। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, রায়ও আংশিক কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে কারা জড়িত ছিল সেটা অনেকটাই অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। এদেশের মানুষের প্রিয় নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা কারা করেছিল সেটা জানাতে অবশ্যই একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।’

অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার আংশিক বিচার সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু অনেক কুশীলবের মুখোশ উন্মোচন হয়নি। একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করে এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। সেই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকসহ বিভিন্ন গ্রন্থাগারে রাখতে হবে যাতে মানুষ এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবিস্তারে জানতে পারে।’

অবস্থান কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক। সঞ্চালনা করেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য বিমান রায়, তমিজ তমি, মাকসুদ আলম ডাবলু, সৈয়দ হেমায়েত, ব্যারিস্টার গোলাম শাহরিয়া, ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল, তাওহিদুর রহমান কাজল, মোজাম্মেল হক মারুফ, মোহাম্মদ মহসিন, মিজানুর রহমান রুবেল, জ্যোতিকা জ্যোতি, মঞ্জুর রহমান, উৎপল সাহা, সাহনুর আলম, সুজন হাজরা, যুবলীগের সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর