ঘুরতে যাওয়ার পথে নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদীর শিবপুরে শুক্রবার সকালে ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নিহত হন।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সাতজন হলেন টাঙ্গাইলের সবুজ মিয়া, ঝালকাঠির আল আমিন হাওলাদার, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আল আমিন, মাদারীপুরের আব্দুল আওয়াল, বরিশালের আরিয়ান ওরফে রায়হান, জামালপুরের রাজু মিয়া ও গাড়ির চালক কুষ্টিয়ার সদর থানার বাবুল মোল্লা।
প্রাণ হারানো আল আমিনের ছোট ভাই আসিফ খান বলেন, “আমি শ্রীমঙ্গলে একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। গতকাল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়। তিনি ফোনে বলেন, ‘আমরা সিলেটে বেড়াতে আসতেছি, ভাই তুমি থাইকো’, কিন্তু ভাই আর আসলেন না।”
যারা মারা গেছেন, তাদের সবাই আল আমিনের বন্ধু বলে জানান আসিফ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্মস্থান টাইঙ্গালে। চাকরির সুবাদে এখানে থাকি। আমার ভাই অবিবাহিত ছিলেন। আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে আল-আমিন সবার বড়।’
প্রাণ হারানো রাজুর চাচা শ্বশুর ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে দেখে মর্গে এসেছি। এখানে এসে আমার ভাতিজির জামাইকে শনাক্ত করি। তারা বন্ধুরা সবাই সিলেট ভ্রমণে যাচ্ছিল।’
জুয়েল ব্যাপারী বলেন, ‘আমার দুলাভাই বাবুল নিহতদের একজন। আমি মরদেহ দেখে শনাক্ত করি।’
জুয়েল জানান, ভগ্নিপতি বাবুলের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খাজানগরে। তার মরদেহ নিতে নরসিংদীর মর্গে এসেছেন তিনি।
নরসিংদী সদর থানার ওসি হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকচালক পলাতক আছেন।’
বিআরটিএ নরসিংদীর সহকারী পরিচালক শেখ ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল দেখে মনে হচ্ছে হাইওয়েতে মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। ট্রাক কিন্তু ট্রাকের জায়গায় আছে।’
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবীর বাসার জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত যাত্রীদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।