জনগণ ছাড়া আন্দোলন হয় না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলনে শুধু নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। জনগণের উপস্থিতি থাকে না।’
বৃহস্পতিবার মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলনের জন্য দুইটা বিষয় জরুরি। একটা অবজেক্টি, আরেকটা সাবজেক্টিক। বিএনপির অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ। ক্ষমতায় আসার মূলা ঝুলিয়ে নেতা-কর্মীদের জড়ো করেছিল। তাদের এসব সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণআন্দোলন কেমন করে হবে?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে ৭৫ থেকে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলে আসছে এখনও।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী যখন সংসদে প্রসঙ্গটি তুলছিলেন, তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, উনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। এমন দাবি করে উপহাস করেছিলেন তিনি। জজ মিয়ার নাটক আরো নির্মম। সেটা আরেক প্রহসন বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়াকান্না করে তাদের রাজনীতি। এ হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা গণতন্ত্রের নামে মায়াকান্না করছে তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সহঅবস্থানের কোনো সুযোগ আছে কি?