সীতাকুণ্ডের গহীন পাহাড়ে রীতিমতো কারখানা স্থাপন করে অস্ত্র তৈরি করে কেনা-বেচা করা একটি চক্রকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব)।
কারখানা শনাক্তের পর সোমবার ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের মূলহোতা জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
আটককৃত দুজন হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী ইমন।
আটক করার পর জাহাঙ্গীরের টিনের দোচালা বাগানবাড়ি থেকে ৩টি সদ্য তৈরি লোকাল গান, একটি রামদা ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, কারখানাটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় যাতায়াতও বেশ কঠিন। তাছাড়া চক্রের সদস্যরাও বেশ ধূর্ত। এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলেই সতর্ক হয়ে যেত তারা। ফলে চক্রটির সঠিক অবস্থান শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে র্যাবের কাছে। তবে এসব প্রতিকূলতা থামাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই এলিট ফোর্সকে।
র্যাবের গোয়েন্দাদের কৌশলি তৎপরতায় শনাক্ত হয় সেই কারখানা। সাধারণ পথে না গিয়ে দুর্গম পাহাড় পাড়ি দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
তাদের আটকের বিষয়ে র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, তারা অস্ত্র তৈরি করে স্থানীয় জলদস্যু, ডাকাত দলের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সেগুলো বিক্রি করত। তাদের ওই কারখানা শনাক্তে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় র্যাব।
তাপস কর্মকার বলেন, ‘কেউ যেন বুঝতে না পারে, তাই কৃষি কাজের আড়ালেই অস্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করেছেন ওই দুই মূলহোতা।’
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটক আসামি ও উদ্ধার মালামাল সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।