রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘এই মামলায় প্রথমে তারেক রহমান সংযুক্ত ছিলেন না। পরে মুফতি হান্নানকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে তার জবানবন্দি ওপর ভিত্তি করে তারেক রহমানকে যুক্ত করা হয়। এমনকি মুফতি হান্নান এই জবানবন্দির বিরুদ্ধে এফিডেভিট দিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।
‘পরবর্তীতে মুফতি হান্নানকে অন্য একটি মামলায় তড়িঘড়ি করে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়, যাতে তিনি এই মামলায় পরবর্তীতে আর কোর্টে আসার কোনো সুযোগ না পান।’
ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের নাম এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ এ ঘটনায় তারেক রহমান কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। সুষ্ঠু তদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে মামলা শেষ করা হয়েছে।
‘আমরা বারবার বলে এসেছি, এই মামলায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি জঘন্য ঘটনা। তারেক রহমানসহ বিএনপির কোনো নেতা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভারত সফরের বিষয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা জনগণের কাছে যেতে পারে না, তারাই এভাবে বিদেশ গিয়ে ফায়দা নিতে চায়। আমরা চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন; জনগণ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করবেন এমন একটি নির্বাচন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের মাঠ শূন্য করতে আবারও চক্রান্ত চলছে। একই কায়দায় গত পরশু দিন রাতে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন।
গত শনিবার হবিগঞ্জে সাবেক মেয়র জি কে গউছের বাড়িতে গুলি করা হয়। তিন শতাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও গুলি করেন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বিরোধী দলশূন্য নির্বাচন করতে চায় তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন শুরু হয়েছে মেগা প্রকল্প চালু করা। কার জন্য? কীসের জন্য? এগুলোর লক্ষ্য হলো তাদের পকেট ভরানো। এগুলো তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। সুতরাং এখানে তো বলার কিছু নেই যে, আপনি উন্নয়ন করেছেন। আজকে জাতি এদের হাত থেকে মুক্তি চায়।’