দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জীবিত থাকার সময়ে খুলনাতে মরদেহ দাফন করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম আসাদুজ্জামান।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ খুলনায় দাফনের খবরে বিক্ষোভ হয়েছে।
সোমবার খুলনা মহানগরী সোনাডাঙ্গা থানাধীন সিদ্দিকিয়া মহল্লায় রাত ১১টার দিকে এ বিক্ষোভ হয়।
ওই এলাকায় দারুল কুরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা ও মসজিদ এবং পাশে কবরস্থান রয়েছে। ওই মাদ্রাসাটি ‘সাঈদী সাহেবের’ মাদ্রাসা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
বিক্ষোভকারী কয়েকজন জানান, তারা জানতে পেরেছেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মরদেহ ওই মাদ্রাসার প্রাঙ্গণের কবরস্থানে দাফন করা হবে। তিনি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় ওই কবরস্থানে তার লাশ দাফন করতে দেয়া হবে না।
এ ছাড়া খুলনায় যাতে সাঈদীর মরদেহ যেন দাফন না করা হয় সেজন্য সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওই সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, তার বাবা ওই কবরস্থান, মসজিদ ও মাদ্রাসার জন্য জমি দান করে গেছেন। সেখানে যেন সাইদীকে দাফন না করা হয় সে বিষয়ে তিনি পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন।
তবে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জীবিত থাকার সময়ে খুলনাতে মরদেহ দাফন করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘খুলনা শহরে মাদ্রাসা শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর জন্য ১৯৮৩ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। জীবদ্দশায় সাঈদী ও তার স্ত্রীর করে যাওয়া অসিয়ত অনুযায়ী মরদেহ দাফনের জন্য এখানে নির্ধারিত স্থান আছে। তাই মৃত্যুর খবর পেয়ে মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে মাদ্রাসায় জরুরি বৈঠকে বসেছি আমরা।’
সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন।
সাইদীর মরদেহ খুলনায় দাফনের খবরে বিক্ষোভ
এ বিভাগের আরো খবর/p>