কুড়িগ্রামে দুইটি উপজেলায় এক যুবক ও নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌর এলাকার নামা ভেলাকোপা গ্রামে রোববার সকালে কৃষি জমিতে মাথা ডোবানো অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো লিংকন হোসেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌরসভার নামা ভেলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের টেলিপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে গলা কাটা অবস্থায় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাণ হারানো ১৮ বছর বয়সী রিংকি বেগম উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নের টেলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পান্ডুল ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে রিংকির বিয়ে হয় উপজেলার মাঝবিল এলাকায়। স্বামী চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত আছেন। রিংকি চার দিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শনিবার রিংকির বাবা-মায়ের ঝগড়া হলে বাবা রাগ করে তার কর্মস্থল লালমনিরহাটে চলে যান। রিংকিংর মা চলে যান রিংকিংর নানা বাড়িতে।
পান্ডুল ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, ওই রাতে তার দাদা, দাদি ও ভাই বাড়িতেই ছিলেন। শনিবার রাতে মা বাসায় না থাকায় রিংকি ঘরে একাই ঘুমান। সকালে ডাকাডাকি করে সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে রিংকিকে গলা কাটা অবস্থায় দেখেন তার ভাই। ওই সময় রিংকিংর ভাইয়ের চিৎকারে বাড়ির অন্য সদস্যসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
উলিপুর থানার ওসি তামবিরুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অপরদিকে লিংকনের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে রাস্তার পাশে কৃষি জমিতে লিংকনের মাথার অংশ পানিতে ডুবন্ত ও শরীরের বাকি অংশ জমির আইলের ওপরে পড়ে ছিল। পরে লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় কাউন্সিলর জমশেদ আলী টুনকু বলেন, ‘লিংকন মাদক সেবন করত। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
‘তার মরদেহের পাশে মাদকের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
সদর থানার ওসি আবু সাঈদ সরকার জানান, মরদেহের পাশে মাদক সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।