ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কবরস্থানের সব তথ্য যুক্ত হল অনলাইন সেবায়। এর ফলে ডিএনসিসির ডিজিটাল সেবার পরিসর আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার গুলশানে নগর ভবন অডিটরিয়ামে ডিএনসিসির স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়নের পর এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশে কবরস্থানের ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট হতে হবে।
‘এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরবর্তীতে কবরস্থানে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিন থাকবে। আমরা সেখানে দেখতে পারবো কবরের তথ্য।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইলেজেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা এমন সেবা দিতে চাই যেন নগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পান। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবেন, কোথায় ফাঁকা আছে তার সার্বিক তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন।’
মেয়র বলেন, ‘কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করতে আমরা সংরক্ষণ খরচ বাড়িয়েছি। বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসেন, আর সেটা যদি স্থায়ী সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেয়ার খরচ রাখা হয়েছে মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে অনেক খরচ পড়বে।’
প্রসঙ্গত, Graveyard Management DNCC নামে অ্যাপটি গুগুল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। কবরস্থানে না গিয়েও একজন সেবাগ্রহীতা এই অ্যাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে মরদেহ দাফনের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করে মরদেহ নিয়ে নির্দিষ্ট কবরে দাফন করতে পারবেন। এই অ্যাপের ফেস টু (২) তে কবরস্থানে দাফনদের তথ্যভান্ডার থাকবে, পাশাপাশি দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে।