কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের একটি বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার ঢেকিয়া এলাকায় শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন, তবে পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
২৯ বছর বয়সী চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বাসিন্দা।
আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘আমার ভাই ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে ডা. শাহিন সুলতানা মীরাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা কিছুদিন রাঙ্গামাটিতে ছিলেন।
‘রাঙ্গামাটি থেকে ফিরে স্বামী-স্ত্রী মিলে হোসেনপুর পৌর এলাকার ঢেকিয়া এলাকায় মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক চালু করে। তারা ক্লিনিকের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত।’
তিনি আরও জানান, ক্লিনিক চালু করার সময় থেকেই আরিফুল ও মীরার মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। স্বামীর বাড়ির লোকজনকে সহ্য করতে পারতেন না ডা. শাহিন সুলতানা মীরা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ হতো।
আশরাফুল বলেন, ‘আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মীরা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।’
এ বিষয়ে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
হোসেনপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান টিটু জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকলেও নখের আঁচড় রয়েছে।
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আরিফুল ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।