দুদকের মামলার আসামি ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে চিকিৎসা খরচ গ্রহণের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে গত রোববার তাকে বদলি করে দুদকের এনআইএস এবং উন্নয়ন সহযোগী ও সমন্বয় (দেশীয়) বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলাম কমিশনের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবুল আনামের কাছ থেকে চিকিৎসা খরচ বাবদ অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
গোপন অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, গত ১৭ আগস্ট মীজানুল ইসলাম এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ২০ আগস্ট ছাড়পত্র নেন। কিন্তু চিকিৎসা বাবদ বকেয়া দুই লাখ চার হাজার একশত বত্রিশ টাকা তিনি নিজে পরিশোধ না করে অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট মাহাবুবুল আনামের প্রদত্ত গ্যারান্টির ভিত্তিতে ছাড়পত্র নেন।
অভিযোগের গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় বিষয়টি গত ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে এবং বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।
গত ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক। এর দুটি মামলার আসামির তালিকায় ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবুল আনাম।