শেরপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে চাকরির লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত মামলায় জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর ৪ ঘণ্টা পরই তাদের জামিন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেরপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনাটি ঘটেছে।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, ওই কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা, প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন, শহিদুলের আত্মীয় মো. শেখ জামাল ও মো. হযরত আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক।
তিনি বলেন, ‘আসামিরা অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমলি আদালতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জামিন দাখিল ও আত্মসমর্পণ না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ হয়। তবে পরবর্তীতে একইদিন বিকেলে আসামিপক্ষের বিশেষ আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের নির্দেশে পৃথক একটি আদালত তাদের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার বাদী ও আইনজীবী থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চাকরির লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা ও তার ৩ সহযোগী শেরপুর সদর জি.আর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের সবাইকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর তাদের কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে রাখা হয়। পরে তাদের পক্ষ থেকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীরের কাছে পুণরায় জামিনের বিশেষ আবেদন করা হলে তিনি নকলা জিআর আমলি আদালতের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাহমুদের আদালতে তা শুনানির জন্য পাঠান। তার প্রেক্ষিতে বিকেল ৪টায় শুনানি নিয়ে তিনি অধ্যক্ষসহ ৪ আসামিকেই পুলিশ রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। আদেশের প্রেক্ষিতে জেলা কারাগারে পাঠানোর আগেই কোর্ট হাজত থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে যান আসামিরা।
সিজেএম আদালতের পেশকার রুকনুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিশেষ আবেদনের প্রেক্ষিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্যার নন বরং একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন দিয়েছেন। ফলে কারাগারে যাওয়ার আগেই তারা কোর্ট হাজত থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’