ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী একটি বাসের যাত্রী মাদ্রাসাপড়ুয়া ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ওই বাসের কন্ডাক্টর ও হেলপারসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করলে মঙ্গলবার ওই তিনজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রচেষ্টা পরিবহনের কন্ডাক্টর ২২ বছর বয়সী আসিফ সরদার, হেলপার ২৪ বছর বয়সী রাকিব মাতুব্বর ও তার মা ৫০ বছর বয়সী লিলি বেগম।
মেয়েটিকে শারিরীক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেয়েটির দুলাভাই জানান, তার শ্যালিকা ঢাকার হাজারীবাগ খাদিজাতুল কোবরা নামের একটি মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। হাজারীবাগে একটি ভাড়া বাসায় তাদের সঙ্গেই থাকে সে। গত রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে তাকে তার শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দার পীরেরগ্রামে যাওয়ার জন্য বাবুবাজার থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেই। তার জন্য ভাঙ্গায় অপেক্ষা করছিলেন শ্বশুর।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘মেয়েকে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন দিলে সেটিও বন্ধ পাই। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে পুলিশকে জানাই।’
ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জুয়েল বলেন, ‘রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর সোমবার সকালে ঐ বাসের সুপারভাইজার আসিফকে আটক করার পর তার দেয়া তথ্য মতে হেলপার রাকিবের বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।’
পুলিশ জানায়, ভাঙ্গায় পৌঁছে মেয়েটিকে বাস থেকে না নেমে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কিছুদূর সামনে নিয়ে নামিয়ে হেলপার রাকিবুলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মনির বলেন, ‘অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’