ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- মালেক মোল্লা, শরিফুল মোল্লা, বসির মোল্লা, আমিরুল মোল্লা, গফুর মোল্লা, সোহান মোল্লা, শরকত মোল্লা, আলাউদ্দিন, নজির মোল্লা, সেলিম মোল্লা, শাহজাহান মোল্লাসহ অন্তত ১৫ জন।
আহতদের মধ্যে ৭ জনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে মালেক মোল্লা ও শরিফুল মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েক দিন আগে শরিফুল মোল্লার অনুসারী বাবলু হোসেন ঘেনাকে মারধর করে মালেক মোল্লার অনুসারীরা। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বুধবার বিকেলে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার দুই পক্ষকে মীমাংসার জন্য ডাকেন। কিন্তু তিনি উপস্থিত হওয়ার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এ সময় প্রাণ রক্ষায় জামাল ইউপি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেন।
সংঘর্ষের সময় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাংচুর করে দু’পক্ষের লোকজন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বুধবার বিকেলে জামাল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় এমপির উপস্থিতি দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসা করার কথা ছিল। কিন্তু তারা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’