বরিশালের বাবুগঞ্জে শাশুড়িকে দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে বাধা দিয়েছেন পুত্রবধূ। জমির ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ওই জমিতে কবর দেয়া ঠেকাতে তিনি এ কাজ করেন। পরে পুলিশ এসে পুত্রবধূকে হেফাজতে নিয়ে তার শাশুড়ির দাফন সম্পন্ন করে।
ঘটনাটি সোমবার বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে ঘটে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৪৫ বছর বয়সী শাহনাজ বেগম নামের এক নারী তার শাশুড়িকে কবর দিতে বাধা দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই গৃহবধূর কর্মকাণ্ডে তার গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পরে শাহনাজের মুচলেকা নিয়ে তার ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।’
শাহনাজ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহিমের স্ত্রী। প্রয়াত ৮০ বছর বয়সী আনোয়ারা বেগম তার শাশুড়ি।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই নারী খোঁড়া কবরে বসে ও শুয়ে রয়েছেন। গ্রামবাসীরা তাকে সেখান থেকে ওঠানোর চেষ্টা করছেন। কবরের আশে-পাশে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, মোবারক ও আনোয়ারা দম্পতির পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে আব্দুর রহিম সৌদি প্রবাসী। জমির ভাগাভাগি নিয়ে শাশুড়ি ও ননদদের সঙ্গে শাহনাজের বিরোধ চলছিল।
শাশুড়ি আনোয়ারা মারা যাওয়ার আগে দাফনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেন। সেখানে কবরও খোঁড়া করা হয়। ওই জমি নিজেদের দাবি করে শাহনাজ তার শ্বশুরের কবরের পাশে শাশুড়িকে দাফন করতে বলেন।
কিন্তু ননদরা মায়ের ওসিয়ত করা স্থানে দাফন করবেন বলে জানান। এ নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে শাহনাজ তার শাশুড়ির জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন।
উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মৃধা মো. আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।’