রাত-বিরাতে বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, 'বিএনপি-জামায়াত বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এর অর্থ জনগণ ও জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা, জনগণকে তোয়াক্কা না করা। এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে অনুনয়-বিনয় করা দেশবিরোধী অপতৎপরতা।'

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা-বাইসস আয়োজিত 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, 'রাজনীতিবিদ ধরনা দেবে জনগণের কাছে। যারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে তারা জনগণের কাছে ধরনা দেবে। কিন্তু জনগণের কাছে না গিয়ে রাত-বিরাতে বিএনপির নেতারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন। এটি দেশবিরোধী অপতৎপরতা।'

বাইসস সভাপতি গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।

হাছান মাহমুদ বলেন, 'বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন- এই চারটি বিষয়ের মধ্যে বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। জনগণের কোনো বিষয় তাদের মধ্যে নেই। বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা বাড়লো কি বাড়লো না, গায়ের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না, সেটি নিয়ে তারা ব্যস্ত। জনগণ নিয়ে তারা ব্যস্ত না।'

নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেভাবে হয়েছে সেটি শুধু দেশের জন্যই নয়, এই উপমহাদেশের জন্য উদাহরণ। ক’দিন আগে প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছে, আমাদের দেশে সেটি হয়নি।'

বিএনপি ভোট বর্জন ও বাধার পরও সিটি নির্বাচনে ৫০ ভাগের ও বেশি ভোট পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এখান থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন। কারণ আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করতে পারে, জনগণ করবে না। জনগণ ভোটে অংশ নেবে।'

এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের 'তৃণমূলের নেতা' হিসেবে তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী তাদেরকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণকে আগামী নির্বানে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করানোর দায়িত্ব নিতে বলেন।