নোয়াখালীর পৃথক স্থানে পানিতে ডুবে ছয় শিশু নিহত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় ঘটনাগুলো ঘটে।
এ নিয়ে গত তিনদিনে এ জেলায় পানিতে ডুবে নয় শিশু নিহত হলো।
নিহতরা হলো- কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের আবু নাছেরের ৯ বছরের ছেলে রিশাদ ও ৭ বছরের রিশান, সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামের মো. হোসেনের ১০ বছরের মেয়ে রিয়া ও সালাউদ্দিনের ১১ বছরের মেয়ে নাসরিন, হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের লামছরি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ৫ বছরের মেয়ে নিহা আক্তার ও কোম্পানীগঞ্জের চর এলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের আক্তার হোসেনের ৫ বছরের ছেলে আবু বক্কর।
কবিরহাট, চর জব্বর ও হাতিয়া খানার ওসি এবং চর এলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ঘটনাগুলোর ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।
কবিরহাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে প্রতিবন্ধী রিশাদ ও তার ভাই রিশান পুকুরের পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। ওই সময় রিশাদ পুকুরের পানিতে পড়ে গেলে তার ছোট ভাই রিশান তাকে উদ্ধার করতে যায়। এসময় দু’জনই পানিতে ডুবে তলিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।’
হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন মজুমদার বলেন, ‘সকালে শিশু নিহা পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।’
চর জব্বর থানার ওসি দেবপ্রিয় দাশ বলেন, ‘চর বৈশাখী গ্রামের রিয়া বেগম ও তার চাচাতো বোন নাসরিন আক্তার পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি আসে। দুপুরে দুই বোন পুকুরে গোসল করতে নামে। কিছু সময় পর স্বজনরা তাদের দেখতে না পেয়ে পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজির পর পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।
‘এরপর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
কোম্পানীগঞ্জের চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘গাংচিল গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।’
তবে ওই ছয় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহগুলোর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তারা।