আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কারও প্রেসক্রিপশনে নয়, সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছে। আমরা কথা শুনছি, কথা আমরা শুনব এবং পরামর্শও নেব। কিন্তু আমরা কারও নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকব- সেটি ভাবার কারণ নেই। কারও প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।’
ওবায়দুল কাদের রোববার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুরা কেউ হস্তক্ষেপ করছে না, কেউ কেউ পরামর্শ দিচ্ছে। আমরা তাদের কথাবার্তা, ভালো পরামর্শ শুনব। কিন্তু নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানই আমাদের বিধান। কারও পরামর্শ বা প্রেসক্রিপশনে এদেশে নির্বাচন হবে না। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় এদেশেও সেভাবে হবে।
বাংলাদেশে বিরোধী দলের ব্যর্থতার সীমা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুনেছি তারা ৩৬ দলের রূপরেখা এক দফার আন্দোলন করবে। সেটি এখনও শুরু হয়নি। শুরু হতে হতে কত দল এখান থেকে কেটে পড়ে সেটা দেখার বিষয়। কত দল শেষ পর্যন্ত থাকে সেটি দেখার বিষয়। আমরা খবর পেয়েছি, ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কী পাবে তা নিয়ে ৩৬ পার্টির মধ্যে দরকষাকষি চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নয়। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। আরও ২/৩টা নির্বাচন করতে হবে।’
ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে। বন্ধুত্ব থাকবে, লেনদেন থাকবে। কিছু কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, সেটা বন্ধুত্বেরই অংশ।’
বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতির বিষয় রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। তবে এতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে উদ্ভূত পরিস্থিতিই করণীয় বলে দেবে। জনগণের জান-মাল রক্ষায় আমরা মাঠে, রাজপথে সতর্ক অবস্থানে আছি। নির্বাচন পর্যন্ত শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি আছে।’
দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কষ্ট হবে, এমন সব বাধা দূর করতে হবে। বাজারে সিন্ডিকেট করে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের দায়িত্ব আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে তাদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি, এক সময় এটা আর লাগামছাড়া থাকবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ সময় মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে ও নতুন করে কোনো প্রকল্প না নিতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।