বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যান বাবুকে ধরিয়ে দিল সহযোগীর মোবাইল ফোন

  •    
  • ১৭ জুন, ২০২৩ ২২:১১

সাংবাদিক নাদিম হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত বাবুকে ধরাটা সহজ ছিল না। কারণ তিনি ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান। এই পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নেয় র‍্যাব। আর সে সুবাদে দুই সহযোগীর মোবাইল ফোনে কথোপকথন থেকে মিলে যায় তার অবস্থান।

জামালপুরের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর পরিকল্পনা এবং তার উপস্থিতিতেই সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

বাবু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে র‍্যাব একথা জানিয়েছে। তবে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত বাবুকে ধরাটা সহজ ছিল না। কারণ সাংবাদিক নাদিম মারা যাওয়ার খবরে আত্মগোপনে চলে যান বাবু।

এই পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নেয় র‍্যাব। আর বেরিয়ে আসে বাবু আত্মগোপনে থাকা আস্তানার ঠিকানা। তার দুই সহযোগী সন্ত্রাসীর মোবাইল ফোনে কথোপকথন থেকে মিলে যায় সেই তথ্য।

র‍্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও জাকিরুল ইসলাম একসঙ্গে গা-ঢাকা দেন। ঘটনার পর থেকেই বাবুর মোবাইল ফোন সেটটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার দুই সহযোগীর ফোন সেট খোলা ছিল। আর এই সূত্র ধরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘নাদিম হত্যার ঘটনার পর ছায়া-তদন্ত শুরু করে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল। পাশাপাশি র‍্যাব-১৪ ও র‍্যাব-১২ কাজ শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে নিশ্চিত করে র‍্যাব। ফুটেজে রেজাউলকে প্রথম দেখা যায়। আর তাকে নিয়েই আমরা কাজ শুরু করি।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি। তার সহযোগী জাকিরুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান মনির মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। তারা তাদের ফোন থেকে বিভিন্ন জায়গায় কথাও বলেছেন।’

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘চেয়ারম্যানের এলাকা থেকে আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ছিল, মনির ও জাকিরুলকে সঙ্গে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন বাবু। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে তারা যেখানে ছিলেন ওই এলাকায় বাবুর আত্মীয়-স্বজনদের বড় একটি গ্রুপ চাকরি করে।

‘তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার ভোরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। র‍্যাব জাকিরুলকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে বাবুকে পেয়েছে।’

বগুড়া থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে খন্দকার মঈন বলেন, ‘সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর রেজাউল করিম গাজীপুরে তার এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় গা-ঢাকা দেন। ওই আত্মীয় তাকে বগুড়ায় তার বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সেখান থেকে শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর