গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচরণার সময় তার গাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গোপালপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। হামলার পর তাৎক্ষণিক জায়েদা খাতুন ও তার সমর্থকরা টঙ্গী পূর্ব থানায় আশ্রয় নেন।
পরে সেখানে জায়েদা খাতুনের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, নৌকার সমর্থক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালিয়েছে। হামলার ঘটনায় সুমন ও পাইলট নামে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, আমার মা জায়েদা খাতুন ‘টেবিল ঘড়ি’ মার্কার প্রচারণায় বিকেলে টঙ্গীর ৪৩ ও ৪৪ নং ওয়ার্ডে যায়। মায়ের সাথে আমিও ছিলাম। সন্ধ্যায় পাগাড় এলাকায় প্রচারণা শেষে গোপালপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা আমার ৭০ বছর বয়সী মায়ের ওপর হামলা করেছে। আমার মা এবং আমার উপর প্রথমে ইট মেরেছে। তারা আমার মাকে হত্যা করার নীলনকশা এঁকেছে। আল্লাহর রহমতে আমার মা বেঁচে রয়েছে।
জাহাঙ্গীর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাই এটা কী ভোট? একজন প্রার্থীকে হত্যা করার চেষ্টা করছে প্রচরণার সময়। আমাদের আশেপাশে যারা ছিল তারা সবাইকে মারধর করেছে। এভাবে তো ভোট হতে পারে না, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। আমার মাকে যদি হত্যা করা হয় তবে এদেশের সব মাকে হত্যা করা হবে। সবার নির্বাচনের অধিকার রয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার মা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তার প্রতি এতো ক্ষোভ কেন? আমার প্রতি ক্ষোভ আপনাদের থাকতে পারে। আমাকে মেরে ফেলেন সমস্যা নেই কিন্তু আমার বৃদ্ধ মাকে মারবেন না।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মাহবুব উজ জামান বলেন, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। এতে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপকমিশনার আরও বলেন, নিয়ম অনুয়ায়ী গণসংযোগের ২৪ ঘন্টা আগে সংশ্লিষ্ট থানায় জানাতে হয়, সেক্ষেত্রে আমরা আইনগত সহায়তা দিয়ে থাকি। তবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী প্রচারণার আগে আমাদেরকে অবহিত করেননি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সমান অধিকার রয়েছে। যদি কোথাও হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে তবে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে আমাদেরকে জানাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।