বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা ঝালকাঠির নদীতীরের মানুষদের

  • প্রতিনিধি, ঝালকাঠি    
  • ১৪ মে, ২০২৩ ১০:৩৯

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম জানান, জেলার ৪ উপজেলার ৬১টি স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ৩৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। সকল উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নে ১টি করে এবং জেলা সদরে ২টি মেডিক্যাল টিম নামানো হয়েছে।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এমন খবরে আতঙ্কিত হলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন ঝালকাঠির নদী তীরের মানুষেরা। ভিটেবাড়ি ও গবাদিপশু ছেড়ে যাবেন না বলে নিজ নিজ ঘরেই রয়েছেন এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ।

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম জানান, জেলার ৪ উপজেলার ৬১টি স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ৩৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। সকল উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নে ১টি করে এবং জেলা সদরে ২টি মেডিক্যাল টিম নামানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত বাড়ার কারণে রোববার দিনের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিসি। তবে বাসিন্দাদের অনেকেই ঘর ছেড়ে যেতে চাইছেন না।

রাজাপুরের চর পালট গ্রামের দিলরুবা বেগম বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের বলেছি তিন নাতিকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে। আমি ছাগল-গরু নিয়ে বাড়িতেই থাকব। মারা গেলে স্বামীর ভিটাতেই মরব।’

কাঠালিয়ার পলি বেগম বলেন, ‘আগে একবার ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেছিলাম, দুই দিন পর এসে দেখি ঘরের জিনিসপত্র চোরে নিয়ে গেছে। তাই এবার যাব না। কিন্তু অনেক ভয় লাগছে। আল্লাহ ভরসা।’

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অনেক সংগঠন জন সচেতনতায় নিম্নাঞ্চলের মানুষের পাশে রয়েছে। অনেকে ব্যাক্তি উদ্যোগেও মাইকিং, মোম ও ম্যাচের কাঠি বিতরণ করেছেন।

নিউজবাংলাকে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, শনিবার রাতেই ৫০০ এর অধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাকি মানুষদের রোববারই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু গবাদিপশু নিরাপদে উঁচু স্থানে স্থানান্তর করেছি।’

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া মানুষদের বসতঘরের মালামাল যাতে লুণ্ঠিত না হয়, সেদিকে পুলিশ কড়া নজর রাখবে।’

এ বিভাগের আরো খবর