উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ওপর হামলার বড় মাশুল দিতে হচ্ছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে।
ওই ঘটনায় প্রথমে গ্রেপ্তার ও পরে বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। সে সঙ্গে তাকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) মধুখালীর ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় প্রথমে গ্রেপ্তার ও মঙ্গলবার বরখাস্ত হলেন তিনি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ন-২-এর কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাংচুরে ইন্ধন দেয়ার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ কারণে তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্তসহ কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো কামরুল আহসান তালুকদার জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ারম্যানের বরখাস্তের একটি প্রজ্ঞাপন পাওয়া গেছে। বিধি অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার ডুমাইন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টোকনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ পযর্ন্ত ঘটনাটিতে ৭ জন আসামি গ্রেপ্তার হলেন বলে জানান মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
৪ মে মধুখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় দুটি মামলা করেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা।
ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
দুটি মামলায় ৫ শতাধিক আসামি রয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সোমবার ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে দু’দিন ও বাকি তিনজনকে একদিনের রিমান্ডে পাঠায়।