আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি)-এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে। জনআকাঙ্ক্ষা ও সময়ের পরিবর্তন বুঝতে না পারলে, ৯১ অথবা ২০০১ সালের মানদণ্ড দিয়ে ২০২৫ সালের রাজনীতি পড়ার চেষ্টা করলে ভুল হবে। শুক্রবার সকালে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত উন্নয়ন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। তিনি বলেন,ডাকসু নির্বাচন আগামী দিনের রাজনীতির একটি নির্বাচনী গ্রামার আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। কেউ যেন ৯১, ৯৬ বা ২০০১ সালের ম্যাট্রিক্স দিয়ে সেটি বিচার না করে। এটি নতুন মেট্রিক্স আগামী দিনের রাজনীতির জন্য।
ফুয়াদ আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে ইসলামপন্থীদের বিজয়, জামায়াত-শিবিরের উত্থান বা জঙ্গিবাদ হিসেবে দেখা ভুল হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে আওয়ামী লীগ যেভাবে ভুল বুঝেছে, ডাকসু নির্বাচনের বার্তাকেও বিএনপি ও কিছু বামপন্থী বুদ্ধিজীবী ঠিকভাবে বোঝেননি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি ছাড়া ইনক্লুসিভ হবে না এ ধরনের বক্তব্য ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, জগন্নাথ হলের ভোটের ফলাফল দেখলে বোঝা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রার্থী ও দল জামায়াত-শিবিরকে সমর্থন দেয়নি। ভোটের পর দেখা গেছে, শিবিরের প্যানেলে ভোট জমা হয়নি এবং তাই শিবিরকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন ফেয়ার হয়েছে। এখানে কোনো ইসলামপন্থী, মৌলবাদী বা দক্ষিনপন্থী বিজয়ী হয়নি। ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ছিল। দেশের রাজনীতি এখনো শান্ত হয়নি, আমরা এখনও ভলকানের উপরে বসবাস করছি। কেউ যদি ফেব্রুয়ারির পর দেশকে ‘সুইজারল্যান্ড’ মনে করে, তা হবে না। যে কোনো সময় নেপাল, শ্রীলঙ্কা বা ইন্দোনেশিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই নাম্বারি রাজনীতি, চেতনা ব্যবসা বা ঠিকাদারী রাজনীতি আর চলবে না। স্বচ্ছতা, সততা এবং ভদ্রতা ছাড়া আগামী দিনের রাজনীতি সুষ্ঠু হবে না। তরুণরা পলিটিক্যালি সচেতন, আর তাদের আকাঙ্ক্ষাকে অসম্মান করলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিশ্চিত।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আমার বাংলাদেশ পার্টি বরিশাল জেলার সদস্য সচিব জি এম রাব্বি, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন তালুকদার, বরিশাল মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: তানভীর আহমেদ, সদস্য হায়দার ভূইয়া, নাজমুল মুন্নাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়ার সাংবাদিকরা।