রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপশাহ মাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী ও তার স্ত্রী। তাৎক্ষণিক সাহায্য চেয়েও ঘটনাস্থলের সীমানা জটিলতায় পুলিশ এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে অভিযোগ করেন পল্টন থানায়।
কোনো অগ্রগতি না দেখে ঘটনার পরদিন ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। এরপর টনক নড়ে পুলিশের।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও জুরাইন থেকে জিসান এবং রানা নামে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার দুপুরে গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন ও তার স্ত্রী। ছিনতাইকারীরা অধ্যাপকের স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ডিবির অভিযানে স্বর্ণের চেইনটিও উদ্ধার হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘জিসান ও রানা পেশাদার ছিনতাইকারী। চেইনটি ছিনিয়ে নিয়েছিল জিসান। তার বিরুদ্ধে দস্যুতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। এ পর্যন্ত সাতবার কারাগারে গেছে সে। কারাগার থেকে বেরিয়ে একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার দুজন চেইন ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের চেইনটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিন থানার সীমানা জটিলতা নিয়ে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গোলাপশাহ মাজারের যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে গোয়েন্দা পুলিশের তিনটি বিভাগের সীমানা রয়েছে। এগুলো হলো রমনা বিভাগ, মতিঝিল বিভাগ ও লালবাগ বিভাগ। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি হয়তো আশপাশে পুলিশ পাননি। তবে তার লাইভটি দেখে ডিবির মতিঝিল বিভাগ দ্রুত মূল ছিনতাইকারীসহ দুজনকে আইনের আওতায় এনেছে।’
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. রাজীব আল মাসুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৯ এপ্রিল দুপুরে গোলাপ শাহ মাজার এলাকায় রিকশার পেছন থেকে অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। ১ মে পল্টন থানায় মামলা হয়। মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, জুরাইনসহ বিভিন্ন এলাাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’