সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঁদা না পেয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জুয়েল রানা নামে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে রায়হানের চায়ের দোকানের সামনে এই নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনাটির একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
নির্যাতনের শিকার জুয়েল রানা নওখাদা গ্রামের হাসিনুর রহমানের ছেলে। নির্যাতনের পর তাকে চোর আখ্যা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ইউপি সদস্য ও তার লোকজন।
নির্যাতনের এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সুজন সরদার, মাজেদুল, শিপন হোসেনসহ অন্য অনেকে।
নির্যাতনের শিকার জুয়েলের বাবা বলেন, ‘তিন মাস ধরে আমার ছেলের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে ওরা। গতকাল (রোববার) রাতে আমার বাড়িতে এসে চাঁদা দাবি করেন ইউপি সদস্য মো. সুজন সরদার।
‘আমার ছেলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। এ সময় সুজন সরদারের নির্দেশে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঈশ্বরপুর গ্রামে রায়হানের চায়ের দোকানে সামনে আমার ছেলের পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা মারধর করা হয়।’
‘নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমার ছেলের জিহ্বা বের হয়ে এলে ওরা মারধর বন্ধ করে। আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনাটি জানিয়েছি। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করছি।’
সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ‘ওই কিশোরকে মারধরের একটি ভিডিও দেখেছি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ঠিক হয়নি ইউপি সদস্য সুজন সরদারের।’
অভিযুক্ত সুজন সরদার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে।’
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকাবাসী চুরির ঘটনায় ওই কিশোরকে পুলিশে সোপর্দ করে অভিযোগ দায়ের করেছে। যদি ছেলেটিকে প্রহার করে থাকে তাহলে অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে আটক করে থানায় রেখেছি।’