উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত সর্বোচ্চ ১০টি সিনেমা এক বছরে আমদানি করে তা দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা যাবে। তবে ঈদ ও পূজার সপ্তাহে এই সুযোগ থাকবে না।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশে সোমবার এই তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশের ফলে ভারতের হিন্দিসহ উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত সিনেমা এ দেশে দেখানোর পথ খুলল।
বিজ্ঞপ্তিতে সাফটা অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তিভুক্ত দেশেগুলোর এ সুবিধা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সাফটার দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি সংক্রান্ত সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪-এর ২৫ (৩৬) (গ) উপ-অনুচ্ছেদের শর্ত প্রতিপালনপূর্বক বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সাফটাভুক্ত দেশ হতে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার জন্য শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে নির্দেশক্রমে অনুমতি প্রদান করা হয়।
এতে যেসব শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকগণ উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার সুযোগ পাবেন। উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র বাংলা সাবটাইটেলসহ পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ২ বছরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রথম বছর ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সমান সংখ্যক চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবে। আমদানি করা উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আগে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও দুর্গা পূজার সপ্তাহে এই আদেশ বলে আমদানি করা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।