বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করল বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:৩১

‘আমরা ৩০ লাখ প্রাণ দিয়েছি গণতন্ত্র, জাস্টিস ও সম্মান সমুন্নত রাখার জন্য। তবে এ বিষয়ে আপনাদের সাহায্য চাই। আপনারাও আমাদের সাহায্য করেন যাতে করে আমরা অবাধ, সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি ‘মডেল’ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে দেশটি। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মোমেন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তারা চান এখানে একটি মডেল নির্বাচন হবে। আমি বলেছি, অবশ্যই, আমরাও মডেল নির্বাচন চাই। আমাদের রক্তে গণতন্ত্র, আমাদের রক্তে জাস্টিস।

‘আমরা ৩০ লাখ প্রাণ দিয়েছি গণতন্ত্র, জাস্টিস ও সম্মান সমুন্নত রাখার জন্য। তবে এ বিষয়ে আপনাদের সাহায্য চাই। আপনারাও আমাদের সাহায্য করেন যাতে করে আমরা অবাধ, সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি।’

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, র‌্যাব, ব্যবসা-বাণিজ্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনসহ দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আলোচনা করে ঢাকা-ওয়াশিংটন। রোহিঙ্গা ইস্যুও বিশেষ গুরুত্ব পায় বৈঠকে।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তার দেশের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।

ব্লিংকেন বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে। এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়, তা নিশ্চিতের বিষয়ে সবার মনোযোগ রয়েছে।

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানানোর কথা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মোমেন। তবে দেশটিতে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশি নাগরিক রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে পর্যবেক্ষক হতে পারবে না বলে বার্তা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাতে চাই। তোমরা আসো। আমরা বলেছি, তোমরা যত পারো পর্যবেক্ষক পাঠাও। গত নির্বাচনে ২৫ হাজার পর্যবেক্ষক ছিল। কিন্তু পর্যবেক্ষক অবশ্যই বাংলাদেশি অরিজিন কেউ হতে পারবে না, যারা রাজনৈতিক দলের ব্যানারে পর্যবেক্ষক হতে চাইবে।’

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা ব্লিংকেনের কাছে তুলে ধরে মোমেন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা কী করেছি, আমরা ফটো আইডি তৈরি করেছি, যাতে ভুয়া ভোট না হয়। আমরা বিশ্বাসযোগ্য ব্যালট বাক্স করেছি। আমরা একটা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি।’

নির্বাচনের সময় কমিশন স্বাধীন জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম। তারা ইচ্ছে করলে যেকোনো লোককে বদলি করতে পারে, যেকোনো লোককে সাসপেন্ড করতে পারে। কমিশনের এগুলো করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে কয়েক হাজার নির্বাচন হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন একটা স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। তবে নির্বাচন একা একা হয় না।’

সরকারের একার পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মোমেন। তার ভাষ্য, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু শুধু সরকার করতে পারবে না। সেটার জন্য সব বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য কমিট করতে হবে। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন…।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একজন মানুষও যেন প্রাণ না হারায় সেই চাওয়ার কথা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মোমেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনে লোক মারা যায়। আমরা চাই না একটা লোক মারা যাক। আমাদের এখানে হাসি-আনন্দে নির্বাচন হয়। তবে আমরা খুব ইগোস্টিক, এত উদ্বেলিত হই যে, লোক মেরে ফেলি। আমরা চাচ্ছি, নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের একটা লোকও যেন না মারা যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর