বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতারণায় ‘কোটিপতি’, ৪ জন গ্রেপ্তার

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২৩ ১৩:৩৪

সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রতারণার কাজ করার পর স্বর্ণের দোকানির অভিযোগ তদন্ত করে বেরিয়ে এসেছে তাদের এসব তথ্য। এরপর গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে এক প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ ইমদাদ হুসাইন।

পুলিশ সুপার জানান, এক সময় সিনেমা হলের মাইকিং করতেন প্রতারক সৈয়ব আলী। পরে খাবার হোটেলে ম্যানেজারির কাজ শুরু করেন। এরপর স্ত্রী, ভাই ও তার ছেলেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলেন। পরিবার নিয়ে নকল জুয়েলারি বিক্রির সংঘবদ্ধ চক্র গড়েছিলেন তিনি।

তিনি জানান, তারা এক বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, নরসিংদী, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, যশোর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় জুয়েলারি দোকানে প্রতারণা করে আসছেন। এক বছরের মধ্যেই সৈয়ব আলীর গ্যাং হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকার স্বর্ণালংকার।

পুলিশ সুপার জানান, তবে সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রতারণার কাজ করার পর ওই স্বর্ণের দোকানির অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ। এতে বেরিয়ে এসেছে তাদের এসব অজানা তথ্য। এরপর গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ চক্রের ৪ সদস্যক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের বড় দাউদপুরের ৪৭ বছর বয়সী সৈয়দ আলী, ৪২ বছর বয়সী তার স্ত্রী নাজমিন বেগম, ৪১ বছর বয়সী তৈয়ব আলী ও তার ছেলে ২১ বছর বয়সী তামিমরহমান।

তাদের কাছ থেকে ২২ ক্যারেটের চারটি স্বর্ণের চেইন, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানিয়েছেন ইমদাদ হুসাইন।

সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর