পদ্মা নদীতে ডুবিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে ২ এপ্রিল নতুন দিন ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুন্নাহারের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় বিচারক নতুন তারিখ ঠিক করেন।
মামলার আসামিরা হলেন শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, শরীফুল হোসেন, মো. রুবেল, মো. নুরুজ্জামান, মো. সজীব, মো. নাসির, মো. মারুফ, আশরাফুল আলম, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ জুলাই সানিসহ ১৫ থেকে ১৬ যুবক পদ্মা নদীর মৈনট ঘাটে ঘুরতে যান। তাদের মধ্যে সানি নিখোঁজ থাকায় রাতে স্থানীয়রা দোহার থানায় খবর দেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়ে সানিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
পরদিন সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। সুরতহাল শেষে বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওই দিন বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান দোহার থানায় হত্যা মামলা করেন। যাতে আসামি করা হয় বুয়েট শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতেও নেয়।