নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ নির্যাতনকারী পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি।
ওই ছাত্রীদের কেন চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে না, তা নিয়ে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা ও কুষ্টিয়ার পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে ফুলপরীকে ক্যাম্পাসে আনে।
ইবিতে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১ মার্চ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার হয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদাসহ পাঁচজন। একই দিন তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।
হাইকোর্টের আদেশে ফুলপরী যে হলে থাকতে চান, তাকে সে হল বরাদ্দের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইবির প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, ‘ফুলপরীর পছন্দমতো বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে তাকে তুলে দেয়া হয়েছে।’ ফুলপরী বলেছেন, তার মনে এখনও শঙ্কা আছে। শারীরিক নিরাপত্তা দাবি করেছেন তিনি।
প্রেক্ষাপট
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ গঠিত চারটি কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়।
ক্যাম্পাসে উপাচার্য
এদিকে ছুটির পর শনিবার ক্যাম্পাসে ফিরেছেন ইবির উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম। নিয়োগসংক্রান্ত অডিও ফাঁসের পর তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
গত মাসের ১৫ তারিখের পর শনিবারই প্রথম নিজ কক্ষে প্রবেশ করেন ইবি উপাচার্য। তার সভাপতিত্বে ছাত্র- শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শুরু হয় দুপুর ১২টার পরে।
সেই বৈঠকে সানজিদাসহ অন্যদের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।