হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সোমবার রাত সোয়া ৭টায় তিনি গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেয়া হয়, কাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এরপর তার চিকিৎসার পরিবর্তন আসতে পারে।
এর আগে বিকেল ৪টা ১২ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। সেখানে পৌঁছার পর চিকিৎসকরা তার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
গত বছরের ২২ আগস্ট সর্বশেষ এভারকেয়ার হাসপাতালে চেকআপের জন্য গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তারপর থেকে বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
নানা শারীরিক জটিলতায় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়।
প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। সেখান থেকে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন তিনি। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসরোধী টিকা নেয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফা মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ নেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে সময় থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন।