আইকিউএয়ারের তালিকায় বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে নিয়মিত ওপরে থাকা দিল্লি শীর্ষে উঠে এসেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী শহর।
ওই সময়ে র্যাঙ্কিংয়ে দূষিত বাতাসের দিক থেকে শহরগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দুপুরের ওই সময়ে দিল্লির বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৪২ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
র্যাঙ্কিংয়ে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আজ দুপুরের ওই সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও চীনের বেইজিং।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটে দিল্লির বাতাসের স্কোর ছিল ৩০৪। এর মানে হলো সে সময়টাতে বিপজ্জনক বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে দিল্লিবাসীকে।
একই সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৮২। এর অর্থ হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে থাকতে হয় ঢাকাবাসীকে।