বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ও শ্রমিক সম্পর্কিত বিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোববার দুপুরে হওয়া বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
দুই মন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে প্রত্যাবর্তনে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
জবাবে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাদের দেশেও রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে এবং আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে তাদের দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মালয়েশিয়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। প্রশিক্ষণ দেয়াসহ দুই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়ের বিষয়েও দুই মন্ত্রী একমত হন।
আলোচনায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত আনসারসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়োগ দিতে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
জবাবে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে সিকিউরিটি গার্ড নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে মালয়েশিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাসনা হাসিমসহ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে সবাই মালেশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন।