বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বামী-সন্তানের সন্ধানে ঢাকায় আসা নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৫

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:৩৯

ভুক্তভোগী নারী স্বামী-সন্তানসহ মোহাম্মদপুরের বসিলায় বসবাস করতেন। চার মাস আগে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাকে তালাক দেন।

যশোরের গ্রামের বাড়ি থেকে সন্তান-স্বামীর সাক্ষাৎ পেতে ঢাকায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী।

সম্প্রতি মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকার এ ঘটনায় শনিবার রাতে রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বসিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বিল্লাল হোসেন, আল-আমিন হোসেন, সবুজ, রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল ও শফিকুল ইসলাম।

রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী স্বামী-সন্তানসহ মোহাম্মদপুরের বসিলায় বসবাস করতেন। চার মাস আগে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাকে তালাক দেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৫ জানুয়ারি যশোর থেকে তালাকের কারণসহ এ বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসেন তিনি। ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি তার আগের বাসায় এসে তার স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। বাড়ির মালিক, পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াদের কেউই তার স্বামী-সন্তানদের কোনো ঠিকানা দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, এভাবে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত বসিলা চল্লিশফিট, ফিউচার হাউজিং, গার্ডেনসিটি হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও এর আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করে সন্তানদের সন্ধান না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই নারী। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বসিলা চল্লিশফিট তিনরাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশা ভাড়া নেন।

রিকশাওয়ালা ওই নারীকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে না নিয়ে ঢাকা উদ্যান ও বসিলা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাতে থাকে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে। ওই নারীকে তার স্বামীর বাসা খুঁজে বের করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সে সময় ব্যয় করতে থাকে।

এইচ এম আজিমুল হক বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে সাড়ে ১২টার দিকে বসিলা ফিউচার টাউনের একটি জায়গায় গিয়ে রিকশাচালক ও তার সঙ্গীরাসহ ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্রমিকদের জন্য তৈরি একটি অস্থায়ী টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে পাঁচজন হত্যার হুমকি তাকে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে নারীর চিৎকারে এলাকায় কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড ও লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তিরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে ওই নারীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়া ও চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার এ ঘটনাটনায় একটি মামলা হলেও ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ ক্লু-লেস। এই নারীও আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের অসংখ্য সিসিটিভি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে ওই নারীর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আশা করছি দ্রুততম সমময়ে সহায়তাকারী বাকি দুজনকেও গ্রেপ্তার করে ফেলব। গ্রেপ্তার তিনজনই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ, এর আগে তারা ছোটখাট অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। আমরা তাদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ওই নারীর স্বামীর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি, আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি তার সন্ধান পাওয়া যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর