কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে কৃষককে হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো.জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন।
কিশোরগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাঈদ ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ৫২ বছর বয়সী কুদ্দুস মিয়া। কুদ্দুসের বড় দুই ভাই ৬২ বছর বয়সী আবুল কালাম ও ৫৭ বছর বয়সী ধলু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ধনু মিয়ার ছেলে ৩২ বছর বয়সী ফুকন মিয়াকে (পলাতক) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারা বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন একই এলাকার ৫৫ বছর বয়সী সোনাফর আলী, ৫৩ বছর বয়সী মুকুল মিয়া ও তার ছেলে ৩৫ বছর বয়সী নিকুল মিয়া।
তিনি আরও জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় অন্যান্য আসামিরা উপস্থিত থাকলেও ফুকন মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারের বিবরণে জানা যায়, নিহত কৃষক আমিরুল হকের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাত ২টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় কৃষক আমিরুল হককে পিটিয়ে ও বল্লমের আঘাতে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ১১ অক্টোবর নিহতের বড় ছেলে শরীফ মিয়া সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি প্রথমে বাজিতপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে বদলি হয়। কিশোরগঞ্জের সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার এ মামলাটির রায় ঘোষণা করে আদালত।