দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার যৌথ সভা শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচির কথা জানান।
বগুড়ার গাবতলীতে ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার জন্মবার্ষিকী সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে এত মিথ্যাচার করছে যে, এদের কথার উত্তর দিতে এখন রুচিতে বাধে।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলোতে পুলিশের গুলিতে ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
গত ১৫ বছরে ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রাণ হারানো নেতাদের মধ্যে সংসদ সদস্যও রয়েছেন। এ ছাড়া সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ৩৫ থেকে ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা দেয়া হয়েছে।
সরকার অর্থনীতি ধ্বংসের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
কর্মসূচি
১৭ জানুয়ারি: মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ।
১৮ জানুয়ারি: ছাত্রদলের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, দুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের শীতবস্ত্র বিতরণ।
ওই দিন এতিম শিশুদের মধ্যে পবিত্র কোরআন ও খাদ্য বিতরণ করবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল।
১৯ জানুয়ারি: সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন। বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। ওই দিন বিকেল ৩টায় রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা হবে।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌরসভায় দোয়া ও আলোচনা সভা হবে।
রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরিব ও অসহায়দের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন।
২০ জানুয়ারি: জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
২১ জানুয়ারি: জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ।
২২ জানুয়ারি: মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ।
২৩ জানুয়ারি: কৃষক দলের উদ্যোগে সেমিনার।
২৪ জানুয়ারি: যুবদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ।
২৬ জানুয়ারি: স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ।