বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঠান্ডায় বিপাকে শ্রমজীবীরা

  •    
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:২৬

কনকনে ঠান্ডার কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে পাঁচ শতাধিক চরের মানুষ।

হিম শীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতের ঠান্ডায় কাঁপছে মাদারীপুর। জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পরও সূর্যের দেখা মেলেনি। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিরাও।

গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে কষ্টে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

মাদারীপুর কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যাবেক্ষক আবদুর রহমান সান্টু বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টায় মাদারীপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। গেল তিন দিনের মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দু-তিন দিন পরে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও জানুয়ারিজুড়ে আরও শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।’

তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চরের সাড়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী, সন্নাসীর ও চরজানাজাতের মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। এর আশপাশজুড়েই পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদ। তাই সরকারিভাবে শীতবস্ত্র দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

সদর উপজেলার পাঁচখোলার লোকমান শিকদার বলেন, ‘খুব সকালে খেজুরগাছ থেকে রস নামাতে হয় আমাকে। কনকনে ঠান্ডা ও শিরশির বাতাসের কারণে মুশকিল হয়ে পড়ছে সেটা। ঠান্ডায় শরীর জমে আসছে। এমন চললে আর খেজুরগাছ কাটা যাবে না। খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের।’

শহরের সুমন হোটেল এলাকার বাসিন্দা ইমন চৌদিকার বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে দুই দিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই নিরূপায় হয়ে আজ কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আগে শীত এলে অনেকে কম্বল দিত, এখন তেমন দেয় না। প্রশাসন থেকেও কোনো সহযোগিতা পাই না।’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়ন আর চারটি পৌসভায় ইতোমধ্যে ৩১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে এক লাখ ২০ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। যেগুলো আবার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর