বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হুন্ডি নয়, ব্যাংকে টাকা পাঠান: প্রবাসীদের প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:২৪

এই ২০২২ সালে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সাড়ে ১১ লাখ লোক কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে গেছেন। যা আগের বছরের চেয়ে ৮৬ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। তবে এই এক বছরে আগের বছরের চেয়ে রেমিট্যান্স কম এসেছে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর পেছনে দায়ী করা হচ্ছে হুন্ডিকে।

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে ভাটার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদেরকে হুন্ডির বদলে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে অর্থ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা সরকারপ্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা অনুরোধ করব, যে এখন যারা রেমিট্যান্স পাঠায় যেন হুন্ডি না পাঠিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে যাতে পাঠায় সে ব্যবস্থাটা করা।’

করোনার সময় ২০২০ থেকে ২০২১ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ অনেকটাই বেড়ে গিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তরতর করে বাড়লেও ২০২২ সাল খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। রেমিট্যান্স কমছে, সেই সঙ্গে কমছে রিজার্ভ। এক বছরেরও কম সময়ে ৪৮ বিলিয়ন থেকে তা নেমে গেছে ৩২ বিলিয়নে। আর এ নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটি প্রবাসী ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২ হাজার ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ (২১.২৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম।

তবে অন্য একটি পরিসংখ্যান জাগিয়েছে হতাশা। এই ২০২২ সালে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সাড়ে ১১ লাখ লোক কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে গেছেন। যা আগের বছরের চেয়ে ৮৬ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন।

অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মানুষ বিদেশ গেলেও টাকা আসলো কম।

এর পেছনে হুন্ডিকে দায়ী করা হচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই যে আমরা সাড়ে ১১ লাখ লোককে বিদেশে পাঠালাম, এটি একটি বিশাল বড় ঘটনা। কিন্তু দুঃখজনক হলো, জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও রেমিট্যান্স বাড়ছে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে হুন্ডি। করোনা মহামারির কারণে সব কিছু বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী অবৈধ হুন্ডি কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই ফের হুন্ডি কর্মকাণ্ড চালু হয়েছে। ডলারের বাজারের অস্থিরতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও বেড়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী রেমিট্যান্সের পাশাপাশি কথা বলেন বিনিয়োগ নিয়ে। তিনি প্রবাসীদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্বানও জানান। বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা তো যৌথ উদ্যোগে দিচ্ছি, এখন তো অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে কিন্তু যারা ব্যবসা বাণিজ্য করতে চায় তারা কিন্তু সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে। সে জন্য পার্টনার খুঁজে নিয়ে আসলে আরও ভালো হয়। বিনিয়োগ যত আসবে তত ভালো।

‘দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ভালোই আসছে। বাংলাদেশের দিকে সকলের দৃষ্টি। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে।’

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির মধ্যেও বাংলাদেশের জন্য সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত টাকা লাগুক, যেখান থেকে পারি খাবার জিনিস আমরা কিনে নিয়ে আসছি। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আমাদের একটু সমস্যা। আর তা না হলে আমাদের কোন সমস্যা থাকার কথা না। … মানুষের খাওয়ার কষ্ট আমরা হতে দেবো না।

‘বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা তো সব জায়গায় লেগেছে। বিশ্বব্যাপী মানুষের খুবই কষ্ট। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। তবে আমাদের এই এখন কিছু মূল্যস্ফীতি কমেছে। একটু ভালোর দিকে। এবার ফসল ভালো হয়েছে। আর আল্লাহর রহমতে ফসল ভালো হয়েছে। আমনও খুব ভালো বাম্পার ফলন। এখন বোরো লাগানোর জন্য সবাই খুব ব্যস্ত।’

এ বিভাগের আরো খবর