বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিস্কুট খাওয়ার অভিযোগে শিশুকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৫০

লিয়ন অভিযোগ করে বলে, ‘আমার বন্ধু আমিন আমাকে বিস্কুট নিতে বলেছিল। ওর জন্য এক প্যাকেট আর আমার জন্য এক প্যাকেট নিয়েছি। পরে দোকানদার এসে আমাকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে কাঠের লাঠি দিয়ে মারে। আমি অনেকবার মাফ চেয়েছি, উনি আমার কথা শোনেন নাই। পরে বাড়িতে নিয়ে আবারও মেরেছে।’

মাদারীপুরে বিস্কুট খাওয়ার অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দোকানদারের বিরুদ্ধে।

সদর উপজেলার নাওহাটা গ্রামে সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

পরে রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লিয়ন নামে ওই শিশুকে। লিয়ন ওই গ্রামের দুলাল ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত মান্নান খাঁ একই গ্রামের সুরাত খানের ছেলে।

স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার বিকেলে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে বন্ধু আমিনের সঙ্গে বাড়ির পাশের দোকানে যায় লিয়ন। দোকানি না থাকায় দুই বন্ধু বিস্কুট নিয়ে খেতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে দোকানি মান্নান দোকানে এসে চুরির অভিযোগে লিয়নকে কাঠ দিয়ে মারধর করেন। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মান্নানের বাড়িতে।

সেখানে রশি দিয়ে হাত বেঁধে শিশুটিকে মারধর করা হয় বলে লিয়নের পরিবার অভিযোগ করেছে।

তারা জানিয়েছে, লিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই দোকানি। পরে ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত দোকানির মোবাইলে কল করে তাকে পাওয়া যায়নি।

লিয়ন অভিযোগ করে বলে, ‘আমার বন্ধু আমিন আমাকে বিস্কুট নিতে বলেছিল। ওর জন্য এক প্যাকেট আর আমার জন্য এক প্যাকেট নিয়েছি। পরে দোকানদার এসে আমাকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে কাঠের লাঠি দিয়ে মারে। আমি অনেকবার মাফ চেয়েছি, উনি আমার কথা শোনেন নাই। পরে বাড়িতে নিয়ে আবারও মেরেছে।’

লিয়ন ফকিরের মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে হয়তো ভুল করে বিস্কুট খেয়েছে তাই বলে এভাবে কেউ মারধর করে। আমাদের কাছে বললে, বিস্কুটের দাম দিয়ে দিতাম। আমার ছেলেটির জ্বর এসে পড়েছে। শরীরে বড় বড় দাগ হয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু সফর হাওলাদার বলেন, ‘শিশুটির বাঁ হাতের বাহুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তা ছাড়া দুই হাতে দড়ির দাগ ছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি। বর্তমানে আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যদি পরিবার থেকে অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর