মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারের ১১টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল পঞ্চাশ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকশ ভরি রূপাসহ কয়েক লাখ টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বালিগাঁও বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী দোকানদারদের বরাত দিয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, রাতে তারা দোকান বন্ধ করে কেউ বাড়িতে, কেউ দোকানে ঘুমাচ্ছিলেন। গভীর রাতে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারে হানা দেয় ২০ থেকে ২৫ জনের ডাকাত দল। এ সময় দোকানগুলোর তালা ভেঙ্গে ও কয়েকটি দোকানে থাকা মানুষদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে ডাকাত দল।
তিনি আরও জানান, এক সারিতে থাকা ৯টি স্বর্ণের দোকানসহ মোট ১১টি দোকান থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকশ ভরি রূপাসহ কয়েক লাখ টাকা লুটে নেয় ডাকাত দল। এ সময় ভুক্তভোগীদের চিৎকার ও মসজিদের মাইকে ডাকাতের কথা বলা হলে বাজারের পাশের নৌপথে ট্রলারে করে পালিয়ে যান ডাকাতরা।
উৎসব গহনালয়ের স্বত্বাধিকারী বাসুদেব দাস জানান, রাত ১১টার দিকে বাসায় আসেন তিনি। পরে মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত আসছে মাইকিং করা হলে দৌড়ে দোকানে যান। গিয়ে দেখেন দোকানের সিন্দুক ভেঙে ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ৭০ ভরি রুপাসহ সব টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।
শ্রী দুর্গা গহনালয়ের স্বত্বাধিকারী তারেক নাথ দে জানান, তার দুই কর্মচারী দোকানে ছিল, তিনি বাসায় চলে গিয়েছিলেন। ডাকাত দল এসে তার কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নদীর পাড়ে নিয়ে যান। দোকানের দুইটা সিন্ধুকের মধ্যে একটা ভেঙে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।
বালিগাঁও বাজার সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দুলাল মিয়া জানান, বাজারে প্রায় ৫০টি স্বর্ণকারের দোকান রয়েছে। গত রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডাকাতি করে পঞ্চাশ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকশ ভরি রূপাসহ কয়েক লাখ টাকা লুটে নেয়ার কথা শুনেছেন তিনি।
টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি রাজিব খান জানান, ধারণা করা হচ্ছে, বাজারের পাশ্ববর্তী খাল দিয়ে ট্রলারে করে এসেছিল ডাকাত চক্রের সদস্যরা। ২০-২৫ জন ডাকাত এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।