বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে প্রেজেন্টেশন-পরীক্ষায় মুখ খোলা রাখার নির্দেশনা বাতিলের দাবি

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:২০

ক্লাস, প্রেজেন্টেশন ও পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র নির্বিঘ্নে হিজাব-নিকাব পরার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন ঢাবির বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীরা

সম্প্রতি প্রেজেন্টেশন, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নির্দেশ এবং না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ।

এই বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে ক্লাস, প্রেজেন্টেশন ও পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র নির্বিঘ্নে হিজাব-নিকাব পরার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীরা। এ দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

স্মারকলিপিতে পাঁচটি দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে শিক্ষার্থীরা এ স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া একটি নোটিশ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নোটিশে পরিচয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার অজুহাতে সব ধরনের পরীক্ষা ও সংযোগ ক্লাসে বিভাগের শিক্ষার্থীদের কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নোটিশের ফলে বিভাগের প্র্যাক্টিসিং মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই নোটিশের মাধ্যমে ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। আমরা মুসলিম হিসেবে এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে ব্যথিত। এটিকে ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের দানা বেঁধেছে।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান এবং আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার তাগিদে আপনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের স্বাধীনতা কেন থাকবে না’, প্রশ্ন রাখেন তিনি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এটি হিজাব বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু নয়। এ কারণে মুসলিম নারীরা ঝরে পড়বে। কারণ, একজন প্রকৃত মুসলিম নারী কখনো তাদের চেহারা কাউকে দেখায় না। তাই আমরা অবিলম্বে এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় তারা পাঁচ দফা দাবি জানান। দাবির মধ্যে রয়েছে- বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা চলাকালীন কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখা সংক্রান্ত নোটিশ বাতিল করতে হবে; পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার আগেই নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা রুমে হিজাব ও নিকাব পরিহিতাদের পরিচয় শনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে; দ্রুততম সময়ে সব অনুষদের সব বিভাগে হিজাব-নিকাব পরিধানকারী শিক্ষার্থীদেরকে হেনস্থা করা বন্ধে নোটিশ দিতে হবে; বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে, ভাইবা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার হলে নিকাব খুলতে বাধ্য করা অথবা কটূক্তির মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের অসম্মান করার মতো ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; হিজাব বা নিকাব পরিধানে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিধিতে ধারা যুক্ত করতে হবে এবং ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত ঘটনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় ফিরিয়ে এনে অথবা ভিন্ন উপায়ে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর