ঢাকার মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তায় গঠন হচ্ছে পুলিশের বিশেষ ইউনিট ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ।
সোমবার সচিব সভায় এমআরটি পুলিশের প্রস্তাব অনুমোদন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, এমআরটি পুলিশ নামে বিশেষায়িত এই ইউনিটের জন্য শুরুতে ১ হাজার ২৮ সদস্যের জনবল কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। একাধিক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের যাচাই বাছাইয়ের পর ৩৫৭ জনের জনবল কাঠামো নির্ধারণ হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউনিটটি গঠনে সব কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। সোমবার সচিবালয়ে একটি সভা রয়েছে। কেবিনেট সেক্রেটারির সভাপতিত্বে মিটিংয়ে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘মেট্রোরেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ২৮ ডিসেম্বর। এর আগেই অন্যান্য কাজ শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।’
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সচিব সভায় প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর প্রমানমন্ত্রীর কাছে সামারি যাবে। এরপরই পদগুলোর বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের পদায়ন বা বদলি করা হবে।’
মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি যাত্রীদের সহায়তায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কাউট সদস্যরা থাকবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর থেকে উত্তরা উত্তর এবং আগারগাঁও স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার্থে টিকিট কাটা ও অন্যান্য বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য স্বেচ্ছ্বাসেবক হিসেবে স্কাউট সদস্যরা থাকবেন। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এর পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব কর্মীরাও স্টেশনে থাকবেন।
‘বিশেষ করে টিকিট মেশিনের সামনে স্কাউট সদস্যরা থাকবেন। স্বয়ংক্রিয় মেশিনে টিকিট কাটতে গিয়ে কেউ না পারলে তাদের স্কাউট সদস্যরা দেখিয়ে দেবেন।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে রেলওয়ে পুলিশের অধীনে ব্যবস্থাপনার বিষয়টি ভাবা হয়। পরে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মেট্রোরেলের জন্য আলাদা বিশেষ পুলিশ ইউনিট গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।