মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় হোসেন্দী ইকোনমিক জোনের সামনে হোসেন্দী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
পরে এক সংক্ষিপ্ত মানববন্ধনে স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন অভিযোগ করেন, গত ২ নভেম্বর হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে পরাজয়ের জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহাবুব হোসেন নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকদের ওপর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। পরপর কয়েকবার তারা আশ্রাবদী গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুর কর্মী-সমর্থক বিশেষ করে যারা নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল, তাদের ওপর হামলা করেন।
সবশেষ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) পরাজিত প্রার্থী মাহাবুবের সমর্থক অজ্ঞাত দুই শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ও নির্বিচারে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক টিটু।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘ভাঙচুরের যে অভিযোগ তারা আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে করেছে তা সত্য নয়। বরং আমার ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল (রোববার) রাতে আমার স্ত্রী ফাতেমা বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।’
বিষয়টি নিয়ে গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘এ ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা অসত্য। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার দাবিও সঠিক নয়। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’