বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপায় নির্ভার মোস্তফা, মুকুট চায় আওয়ামী লীগ

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:১৩

রংপুর সিটি নির্বাচনে লড়াই হবে জাতীয় পার্টির বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার মধ্যে। দুই প্রার্থীই ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রচারাভিযানে। দুজনেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে এখন উৎসবের নগরী রংপুর। কোন প্রার্থী বিজয়ী হবেন, কে কত ভোট পেতে পারেন- এমন আলোচনার ফাঁকে মূল আলোচনা মেয়র পদ নিয়ে। সিটির তৃতীয় নগর পিতা কে হতে যাচ্ছেন- এই আলোচনা এখন সর্বত্র।

বিশ্লেষণ চলছে কে কেমন মানুষ, কে মেয়র হলে নগরীতে কী কী করতে পারবেন, কে জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত নগর দিতে পারবেন, দখলমুক্ত করতে পারবেন ফুটপাত। তবে সব আলোচনা-সমালোচনা ছাপিয়ে ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন প্রার্থীরা।

গত নির্বাচনে প্রায় ১ লাখের বেশি ভোটে বিজয়ী জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবারও প্রার্থী হয়েছেন। তার দাবি গত ৫ বছরে নগরীতে সাড়ে ১২শ কোটি টাকার কাজ করেছেন তিনি। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছেন অবিরাম।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির কাছ থেকে নগর পিতার মুকুট ছিনিয়ে নিতে ভোটযুদ্ধে ছুটছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। প্রতিদিনই গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করছেন তিনি। তার প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা। প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তারাও।

রোববার সকাল থেকে নগরীর মেডিক্যাল পাকার মাথা, মাহিগঞ্জ, মহিন্দ্রা, সরেয়ারতল এলাকায় গণসংযোগে যান আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফা ডালিয়া। সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক এবং আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুদীপ রায় নন্দী।

সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেন, ‘আমরা চাই আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আগামী দিনে রংপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে। নৌকা মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবারও রংপুরের উন্নয়নের ধারাবাকিতা অব্যাহত থাকবে। সুতরাং আমরা মনে করি, এবার রংপুরের মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন।’

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘জননেত্রীর বার্তা নিয়ে আমরা এসেছি। আগামী ২৭ ডিসেম্বরের ভোটে ডালিয়া আপাকে নির্বাচিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। তিনি নির্বাচিত হলে রংপুরের রং পাল্টে যাবে। রংপুরের রঙের সঙ্গে যুক্ত হবে উন্নয়নের রং। সে জন্য রংপুরের মানুষ এবার নৌকা মার্কায় জনরায় দিবে।’

নৌকা প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, রংপুরের মানুষ এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকায় ভোট দিবে। রংপুরের মানুষ উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিবে। তারা আমাকে বিপুল ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে বলে আমার বিশ্বাস।’

এদিকে নগরীর বাস টার্মিনাল, প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ এলাকা, সুলতান মোড়, ডিমলা ও গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে গণসংযোগে যান বিদায়ী মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

তিনি বলেন, ‘আমি গত পাঁচ বছর এই নগরের মেয়র ছিলাম। আমি প্রশাসক ছিলাম না, ছিলাম নগরবাসীর বন্ধু হয়ে। সবার সুখে-দুঃখে ছিলাম। সাড়ে ১২০০ কোটি টাকার কাজ করেছি। এমন কোনো অলিগলি নেই যেখানে আমার সময়ে উন্নয়ন হয়নি। আমি মনে করি, জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙ্গলে নগরবাসী দ্বিতীয়বারের মতো এবারও আমাকে মেয়র নির্বাচিত করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো অশুভ শক্তি লাঙ্গলের বিজয় ঠেকাতে পারবে না। নগরবাসী সে বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরাও প্রস্তুত।’

এবার রংপুর সিটিতে ৯ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল আর স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন।

রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিব আমরা। এ জন্য কাজ করছি। ছোটোখাটো যেসব অভিযোগ আসছে, সেসব বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। আমরা আশা করছি প্রার্থী-সমর্থকরা নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে প্রচারণায় অংশ নেবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর