বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষমতাসীনদের দখলে পুরান ঢাকা, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:২১

সূত্রাপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বাহাদুর শাহ পার্ক পুলিশ বক্সের সামনে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। গেণ্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড়েও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পুরান ঢাকার বিভিন্ন মোড় ও অলিগলি নিজেদের দখলে রেখেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শনিবার সকাল থেকেই দলবেঁধে বিভিন্ন মোড় ও অলিগলিতে অবস্থান নেন তারা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশও।

আজ সকাল থেকে পুরান ঢাকার সদরঘাট, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, ওয়ারী ও বংশালে মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা।

‘বিএনপির দালালরা হুঁশিয়ার, সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ছাত্রলীগের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন' স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন তারা। এরপর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও অলিগলিতে অবস্থান নেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগও শনিবার সকালে মিছিল বের করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। জবি শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে শাঁখারীবাজার মোড় হয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থান করে। পরে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে ও মূল ফটকে অবস্থান নেয়।

কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ লক্ষ্মীবাজার মিছিল করে কলেজ গেটে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ লক্ষ্মীবাজার হয়ে সদরঘাট পর্যন্ত মিছিল করে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পর্যন্ত মিছিল করে লঞ্চ টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেন।

ছাত্রলীগের কর্মীদের মিছিল। ছবি:নিউজবাংলা

সূত্রাপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বাহাদুর শাহ পার্ক পুলিশ বক্সের সামনে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। গেণ্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড়েও থানার ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন।

সদরঘাট ও বাবুবাজার এলাকায় কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের রুখে দিতে সতর্ক পাহারায় রয়েছেন তারা।

সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির সব ধরনের নৈরাজ্য রুখে দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে৷ সমাবেশের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে শক্ত হাতে দমন করবে ছাত্রলীগ।’

এদিকে গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশও। পুরান ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তৎপর রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি দলও।

লালবাগ জোনের উপপুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন বলেন, ‘যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা পুলিশও তৎপর রয়েছে।’

এদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের রড ও স্ট্যাম্প নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। সকাল থেকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তাদের মিছিল ও অবস্থান করতে দেখা যায়।

এর আগে গতকাল সকালে ক্যাম্পাসসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্যাম্প হাতে মহড়া দেয় কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ। এ সময় কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে অবস্থান নিয়েছে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও।

কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম ওয়াসিম রানা বলেন, ‘বিএনপি যেন সমাবেশের নামে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আমরা কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ সব সময় প্রস্তুত। পুরান ঢাকায় কেউ যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে আমরা তার সমুচিত জবাব দিব। তবে বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে, তাদের আমরা কোনো ধরনের বাধা দেব না। কিন্তু তারা ইট মারলে আমরা পাটকেল মারব।’

ছাত্রলীগের এই নেতা কোনো ‘ঝামেলা হবে না’ প্রত্যাশা করে বলেন, ‘তবে বিএনপি যদি সরকারি সম্পদের ক্ষতি করে, স্কুল-কলেজে হামলা চালানো কিংবা বাস-মোটরসাইকেল জ্বালানোর চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তা অবশ্যই প্রতিহত করব।’

এ বিভাগের আরো খবর