বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সমাবেশ থেকে সরকারকে উচিত জবাব দেয়া হবে: আমান

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:৪১

ঢাকা উত্তর মহানগরের আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন- জনস্রোত ঠেকাতে সরকার হামলা-মামলা করেছে। আগামীকালের সমাবেশ থেকে সরকারকে উচিত জবাব দেয়া হবে।

সরকার জনস্রোত ঠেকাতে হামলা-মামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর মহানগরের আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ‘টালবাহানা করে পুলিশ বিকেলে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। জনস্রোত ঠেকাতেই সরকার হামলা-মামলা করেছে। আগামীকালের সমাবেশ থেকেই সরকারকে উচিত জবাব দেয়া হবে।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে গোলাপবাগের সমাবেশস্থল পরিদর্শনে আসেন এই নেতা।

এ সময় তিনি সমাবেশের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন।

তবে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি সমাবেশ করতে রাজি হওয়ার ঘটনাকে ভিন্নভাবে দেখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে সমাবেশ করতে রাজি হওয়ায় বিএনপির অর্ধেক পরাজয় হয়েছে। আন্দোলন কর্মসূচি এখানেই অর্ধেক শেষ।’

এরআগে, বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের পর আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আমান উল্লাহ আমান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের জামিন দেন।

এরপর, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয়।

পরে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে শুক্রবার বিকেলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এ নিয়ে বিরোধের মধ্যে আলোচনায় আসে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের স্থল ঠিক হয় গোলাপবাগ মাঠ।

রাজধানীর এক প্রান্তে সায়েদাবাদ ঘেঁষা বড় এই মাঠটি নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করে সেখানে জমায়েতের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এরপর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, শনিবার বেলা ১১টায় শুরু হবে তাদের জমায়েত। এই সমাবেশ সফল করে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করবে বলেও আগাম ঘোষণা দিয়ে রাখেন তিনি।

তবে বিএনপি এ সমাবেশটি করতে চেয়েছিল নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নয়াপল্টনেই জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে বুধবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয় সেখানে। প্রাণ হারান একজন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এসে পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। বলেন, তারা যাবেন, জনগণও যাবে। বাধা এলে জনতাই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কী করবে।

তবে রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠকে বরফ গলার উপক্রম হয়। সিদ্ধান্ত হয় বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়াম অথবা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করবে।

এ বিভাগের আরো খবর