সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের মিশনে বাংলাদেশের গোলবারে অতন্ত্র প্রহরী ছিলেন রূপনা চাকমা। এবার সফল জননী হিসেবে রূপনার মা কালাসোনা চাকমাকে বেগম রোকেয়া সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে এ সম্মাননা দিয়েছে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
শুক্রবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৫ নারীকে জাতীয় সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
সম্মাননা পাওয়া অন্যরা হলেন- শিক্ষা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা প্রত্যাশা চাকমা, সমাজ উন্নয়নে বাসন্তি চাকমা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন জীবন শুরু করা তসলিমা আক্তার ও অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করা আমেনা আফরোজ তুলি।
এ সময় নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হাওলাদার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা ধীমান চাকমাসহ আরও অনেকেই।
জাতীয় সম্মাননা পেয়ে গোলরক্ষক রূপনার মা কালাসোনা চাকমা বলেন, ‘আজ আমারে মেয়ের কারণে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছে। ক্রেস্টও দিয়েছে। খুবই খুশি লাগছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মেয়েকে আর্শীবাদ হিসেবে একটি ঘরও দিয়েছেন। সেই ঘরের কাজ চলতেছে।’
নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, ‘উপজেলায় বিশেষভাবে যেসব নারী অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে পাঁচ ক্যাটাগরিতে জাতীয় সম্মাননা দেয়া হয়েছে। আশা রাখি, ভবিষ্যতে নানিয়ারচর উপজেলার অনেক নারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে এই সম্মাননা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।’
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘রূপনা চাকমা শুধু নানিয়ারচর উপজেলার গর্ব নন। তিনি সারা বাংলাদেশের গর্ব। তার মাকে জয়িতা সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। আশা রাখি, পাহাড়ের নারী ফুটবলার তৈরি হয়ে পাহাড়ের সুনাম সারাবিশ্বের ছড়িয়ে দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনবে।’