বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুজন হাসপাতালে

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:১৯

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘উত্তরা থেকে এক নারী এবং যাত্রাবাড়ী থেকে এক ব্যবসায়ীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদেরকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে নেন।’

রাজধানীর উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে পড়েছেন এক নারীসহ দুজন।

অচেতন অবস্থায় সোমবার রাতে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উত্তরায় অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া ৫০ বছর বয়সী ফাতেমা বেগমকে সোমবার রাত পৌন ১১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ ফাতেমার স্বামী মফিজ মিয়া বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর থেকে ঢাকার বংশালের সাতরওজা আসার পথে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে আমার স্ত্রী। সঙ্গে ছিল ৫ বছরের নাতনি সুবর্না।

‘ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির মধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়েছে, তাই বাসের সিটে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে বাসের স্টাফরা উদ্ধার করে উত্তরার কুয়েত হাসপাতালে রেখে চলে আসে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও নগদ পাঁচ হাজার টাকাসহ ব‍্যাগ নিয়ে গেছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা।’

এ ছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া ৫০ বছর বয়সী আবুল হোসেনকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার রাত ১০টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।

বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন আবুল হোসেনের মেয়ে নাসরিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ি নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে। আমার বাবা ফেনীর পরশুরামে কাপড় ব্যবসা করেন। সেখান থেকে সকাল ১১টার দিকে নরসিংদীতে আসার পথে বাসের সিটে অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি।

‘পরে বাসের স্টাফরা যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামিয়ে তার সঙ্গে থাকা ফোন দিয়ে আমাদেরকে বিষয়টি জানান। আমারা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করে সরাসরি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ২৫০ সজ্জা হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেকে আনি।’

নাসরিন আক্তার আরও বলেন, ‘‘ফেনী থেকে আসার পথে কিছুটা জ্ঞান থাকা অবস্থায় বাবা মুঠোফোনে বলেছিলেন- ‘আমি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি। আমি অসুস্থতা বোধ করছি। আমার সঙ্গে থাকা ৭০ হাজার টাকা প্রতারক চক্র নিয়ে গেছে।’ এরপর আর কিছু বলতে পারেননি তিনি।’’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘উত্তরা থেকে এক নারী এবং যাত্রাবাড়ী থেকে এক ব্যবসায়ীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদেরকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে নেন।’

এ বিভাগের আরো খবর