বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ভয় পায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:১৪

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের সমাবেশ ৮ থেকে ৬ ডিসেম্বর নিয়ে এসেছি। অনুরোধ করেছি পরিবহন চালু রাখার। তারপরও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে তাদের ভয় কেন? তারা মনে হৃদয়ে চেতনায় মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে না।’

বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘যেখানে পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, যেখানে স্বাধীনতার অন্যতম ভাষণ দেয়া হয়েছে, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বিএনপির ভয় পায়। কারণ তারা হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে না।’

নিজ এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। তারা জানান দিচ্ছে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হবে। এতে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত।

‘আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা অশান্তি চাই না। ছাত্রলীগের সমাবেশ ৮ থেকে ৬ ডিসেম্বর নিয়ে এসেছি। অনুরোধ করেছি পরিবহন চালু রাখার। তারপরও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে তাদের ভয় কেন? তারা মনে হৃদয়ে চেতনায় মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে না।’

তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘অর্থপাচারে দণ্ডিত, মুচলেকা দিয়ে যে দেশ ছেড়েছে সে বলে, হাসিনা পালাবে, মন্ত্রীরা পালাবে, সে ২০০৮ সাল থেকে পলাতক। সে সম্মানের সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম নেয় না। সে একটা বেয়াদব।

‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। তাদের পুনর্বাসিত করেছে। আর তারেক রহমান হাওয়া ভবন থেকে চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।

‘তারেক রহমানের লোকেরা এখানে আমাদেরকে ভয় দেখান তারেক রহমান আসবে বীরের মতো। কাপুরুষের মতো যে পালিয়ে গেছে। সে বীরের মতো আসবে। এত বছরে যা ঘটল না। এখন ঘটবে সেটা বিশ্বাস হয় না।’

উপজেলার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমা মহত্তের লক্ষণ। আমি বড় হয়েছি। বড় গাছে বড় আঘাত আসে। সেটা সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। সংকটের সময় এমনও দিন গেছে আমি ঘর থেকে বের হইনি। লজ্জায় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করিনি। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও করিনি।

‘আমি শুধু একটা কথা বলবো, আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। যারা কোম্পানীগঞ্জে আতঙ্কে ছিলেন, যে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে আমাকে বারবার ফোন করতেন, তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। কোম্পানীগঞ্জবাসীর কাছে আমি ক্ষমা চাই। আমি বলবো, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ওইসব দিনের দুর্ভোগ ও যন্ত্রণার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমরা তো রাজনীতি করি মানুষের জন্য।’

সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর